প্রতিবেদক: Nayan Dewanji | ক্যাটেগরি: জাতীয় | প্রকাশ: 16 Jun 2025, 10:55 AM
দেশের বিশাল যুব জনগোষ্ঠীকে দক্ষ ও আত্মনির্ভরশীল করে তোলার লক্ষ্যে এক যুগান্তকারী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তাঁর অফিসিয়াল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ঘোষণায় তিনি জানান, ২০২৮ সালের মধ্যে ৫ লাখ নারীসহ মোট ৯ লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মমুখী ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর।
এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে "আর্ন" (Earn Project)—যা শুধু একটি প্রশিক্ষণ প্রকল্প নয়, বরং দেশের তরুণদের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। প্রকল্পটি বিশেষ করে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, নারী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণদের দক্ষতাভিত্তিক কর্মসংস্থানে যুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পোস্ট অনুযায়ী, ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী নিট (NEET—Not in Education, Employment or Training) জনগোষ্ঠীকে ছয়টি মূল ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে—
৬০ শতাংশ নারী
২ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী
১ শতাংশ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “এই প্রকল্প কর্মমুখী, উপযুক্ত ও পরিবেশবান্ধব খাতে যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে, দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং একই সঙ্গে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা দেবে। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ঋণসহ আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা হবে যাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ব্যবসা শুরু করতে পারে।”
এই প্রকল্পের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নারীকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করা। দেশে বর্তমানে প্রচুর সংখ্যক তরুণী উচ্চশিক্ষিত হলেও কর্মসংস্থানের অভাবে ঘরে বসে রয়েছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নারীকে শুধু প্রশিক্ষণ নয়, বরং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের চালিকাশক্তিতে রূপান্তর করা হবে। প্রকল্পে নারী অংশগ্রহণের হার ৬০ শতাংশ নির্ধারণ করাটাই নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি সরকারের অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ।
উপদেষ্টার পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, এই প্রকল্প শুধুই প্রশিক্ষণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি সরাসরি এসডিজি (Sustainable Development Goals)-এর লক্ষ্য ৪, ৫ ও ৮ এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। অর্থাৎ, মানসম্মত শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, এবং মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার এক বাস্তব ভিত্তি তৈরি করবে এই প্রকল্প।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া একজন তরুণ উপদেষ্টা হিসেবে ইতিমধ্যেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন যুববান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনার রূপকার হিসেবে। ‘আর্ন’ প্রকল্প তাঁর নেতৃত্বে একটি মাইলফলক হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফেসবুক পোস্টের শেষাংশে উপদেষ্টা বলেন, “এই বিশাল পরিকল্পনা শুধু সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সমাজের প্রতিটি স্তর—অভিভাবক, শিক্ষক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কর্পোরেট খাতের সহযোগিতা প্রয়োজন। একসঙ্গে কাজ করলেই আমরা আমাদের যুব সমাজকে স্বপ্নপূরণে সহায়ক একটি কাঠামো দিতে পারবো।”
দেশের ভবিষ্যৎ গড়ে উঠছে তরুণদের হাত ধরে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ‘আর্ন’ প্রকল্প শুধু একটি প্রকল্প নয়, এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। কর্মহীন, হতাশ এবং প্রত্যাশিত সুযোগ থেকে বঞ্চিত তরুণদের জন্য এটি হতে পারে আশার আলো। যদি এটি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতে এক বিশাল ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দিতে পারে।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
বজ্রকণ্ঠে বাজে ডাকে, কালো মেঘের তীর,বৃষ্টির ফোঁটা মাটির বুকে জাগায় প্রেম-নদীর।কদমফুলের গন্ধ মেশে শিশ...
জেলা পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোয় এসেছে বড় ধরনের পরিবর্তন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নয়টি থানার মধ্যে পাঁচ থানার অ...
নিরব শিক্ষা অঙ্গন হঠাৎই অশান্ত। প্রিয় শিক্ষককে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে কুমিল্লা মডার্ন হা...
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবার অব্যবস্থাপনা ও পরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির...
দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা ও আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪ জন প্রধান শিক্ষক ফিরে পে...
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের (১৮তম) চূড়ান্ত ফলাফলে কারিগরি ত্রুটির সংশোধন করে নতুন করে ৬০ হাজার ৬৩৪ জন...
The Weekly Swadesh Journal স্বদেশ জার্নাল