প্রতিবেদক: Nayan Dewanji | ক্যাটেগরি: জাতীয় | প্রকাশ: 7 Jun 2025, 3:21 AM
ঈদুল আজহার পবিত্র সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে এক হৃদয়স্পর্শী ভাষণে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর ভাষণে প্রতিধ্বনিত হয়েছে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনার প্রত্যয়।
শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানান, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন অনুষ্ঠিত হবে ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক বহুল প্রত্যাশিত প্রশ্নের জবাব দিলেন, যা বহুদিন ধরে জনমনে অপেক্ষা ও জল্পনার জন্ম দিয়েছিল।
ভাষণের সূচনায় তিনি পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে কিশোর থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সালাম জানান। অতঃপর, তিনি স্মরণ করিয়ে দেন—হিংসা, বিদ্বেষ ও বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে একটি ন্যায়ভিত্তিক, সংবেদনশীল ও স্বচ্ছ বাংলাদেশ গড়ার প্রয়োজনীয়তার কথা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের যত রাজনৈতিক বিপর্যয়, তার মূল কারণ ছিল ত্রুটিপূর্ণ ও অবিশ্বস্ত নির্বাচন। একটি ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন শুধু ক্ষমতা নয়, গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে কুক্ষিগত করে তোলে। সেই নির্বাচন আয়োজনকারীরা জাতির কাছে অপরাধী হয়ে থাকে, আর নির্বাচনের ফলভোগী দলটি জনমানসে চিরতরে ঘৃণিত হয়ে যায়।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের দায়িত্ব শুধু নির্বাচন আয়োজন নয়, একটি উৎসবমুখর, নিরপেক্ষ এবং সর্বস্তরের অংশগ্রহণে ভরপুর নির্বাচন নিশ্চিত করা। যেন এই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি আর কখনো সংকটে না পড়ে, যেন অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা শান্তি পায়।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, এই সরকার সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি ম্যান্ডেট নিয়েই কাজ করছে। রোজার ঈদের আগেই সংস্কার ও বিচারের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। বিশেষ করে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মৃতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের অগ্রগতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। জানান, “আমরা চাই এমন নির্বাচন, যেখানে সর্বাধিক প্রার্থী ও দল অংশগ্রহণ করবে, যেখানে প্রতিটি ভোট হবে পবিত্র আমানতের মতো মূল্যবান।”
শেষে তিনি ঘোষণা করেন, “২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শিগগিরই নির্বাচন কমিশন তার রোডম্যাপ প্রকাশ করবে।”
এই ঘোষণায় নতুন প্রত্যয়ের সুর বাজছে। জাতি এখন অপেক্ষা করছে এমন এক নির্বাচনের, যা শুধু সরকার নয়—ভবিষ্যতের বাংলাদেশের নৈতিক ভিত স্থাপন করবে।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
বজ্রকণ্ঠে বাজে ডাকে, কালো মেঘের তীর,বৃষ্টির ফোঁটা মাটির বুকে জাগায় প্রেম-নদীর।কদমফুলের গন্ধ মেশে শিশ...
জেলা পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোয় এসেছে বড় ধরনের পরিবর্তন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নয়টি থানার মধ্যে পাঁচ থানার অ...
নিরব শিক্ষা অঙ্গন হঠাৎই অশান্ত। প্রিয় শিক্ষককে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে কুমিল্লা মডার্ন হা...
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবার অব্যবস্থাপনা ও পরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির...
দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা ও আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪ জন প্রধান শিক্ষক ফিরে পে...
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের (১৮তম) চূড়ান্ত ফলাফলে কারিগরি ত্রুটির সংশোধন করে নতুন করে ৬০ হাজার ৬৩৪ জন...
The Weekly Swadesh Journal স্বদেশ জার্নাল