
প্রতিবেদক: Nayan Dewanji | ক্যাটেগরি: তথ্যপ্রযুক্তি | প্রকাশ: 25 Jun 2025, 10:33 PM



শিক্ষার মসৃণ পথরেখায় প্রযুক্তির রেখাচিত্র আঁকার প্রয়াসে কুমিল্লায় সফলভাবে শেষ হলো তিনদিনব্যাপী ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আইসিটির মাধ্যমে শিক্ষার প্রচলন প্রকল্প (২য় পর্যায় – ১ম সংশোধিত)’ এর অন্তর্ভুক্ত ইন-হাউজ ট্রেইনিং। ১৭ জুন শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ-উৎসব ২৫ জুন বুধবার বিকেলে সমাপ্তি টানে কুমিল্লা নগরীর ঐতিহ্যবাহী মোঘলটুলিস্থ কুমিল্লা হাই স্কুলে।
জেলা শিক্ষা অফিসের সুনিপুণ তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই জ্ঞানযাত্রায় নেতৃত্ব দেন কুমিল্লার সম্মানিত জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার রিক্তা বড়ুয়া। প্রশিক্ষণ সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট ট্রেইনিং কো-অর্ডিনেটর লায়লা খান, সহকারী প্রোগ্রামার রানা কুমার সাহা, সহকারী পরিদর্শক মোঃ মনিরুল ইসলাম ও গবেষণা কর্মকর্তা মুহাম্মদ কাউছারুল ইসলামসহ একঝাঁক নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তা।
প্রযুক্তির আলোয় আলোকিত করার এই প্রয়াসে অংশ নেন কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার প্রায় ৫০ জন আইটি-দক্ষ মাস্টার ট্রেইনার এবং তাঁদের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত হন প্রায় ২০০০ শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রযুক্তির পাঠ — মাল্টিমিডিয়া ক্লাস ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাণ, ই-লার্নিং, মাইক্রোসফট অফিসের ব্যবহার, ইন্টারনেট পরিচালনা ও জাতীয় শিক্ষানীতিতে আইসিটির সন্নিবেশিত শিক্ষাবিষয়ক বাস্তব প্রশিক্ষণ।
সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা— প্রতিটি দিন ছিল যেন একেকটি প্রযুক্তির মহাউৎসব। কোথাও মাউসের ক্লিক, কোথাও ডিজিটাল বোর্ডের টোকা, আর কোথাও বা একঝাঁক শিক্ষক-শিক্ষিকার আলোচনায় প্রতিফলিত হচ্ছিল ভবিষ্যতের শ্রেণিকক্ষের প্রতিচ্ছবি।
একজন অংশগ্রহণকারী শিক্ষক প্রশংসা করে বলেন, "এই প্রশিক্ষণ আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। প্রযুক্তিকে যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তবে শিক্ষার মান অনেক উচ্চতায় পৌঁছাবে।"
প্রশিক্ষণের শেষ দিনে, এক অপার গর্ব আর দায়িত্ববোধ নিয়ে মাস্টার ট্রেইনারদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সনদপত্র। জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যের মাধ্যমে তাঁদের দায়িত্ববোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেন এবং প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন— “এই জ্ঞান ফিরিয়ে নিন বিদ্যালয়ে, ছড়িয়ে দিন শিক্ষার্থীর মাঝে।”
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট ট্রেইনিং কো-অর্ডিনেটর লায়লা খান, সহকারী প্রোগ্রামার রানা কুমার সাহা এবং কুমিল্লা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির।
এই প্রশিক্ষণ যেন কেবল তিনদিনের এক কোর্স নয়— বরং ছিল এক বীজরোপণ। আগামীতে যেখান থেকে প্রযুক্তিনির্ভর, দক্ষ ও মানবিক শিক্ষকের মহীরুহ গজিয়ে উঠবে। কুমিল্লা শিক্ষা পরিবারের এই প্রয়াস প্রযুক্তিনির্ভর জাতি গঠনে নিঃসন্দেহে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
অন্যান্য খবর

আশুরা: ত্যাগ ও শোকের মহিমান্বিত দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক।।প্রতিবছর ১০ মহররম সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় ধর্মীয় শ্রদ্ধা ও ভাবগম্ভীর পরিবে...

বাংলাদেশ-জাপান অংশীদারত্ব জোরদারে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিনিয়োগ, মৎস্য, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা ও যুব উন্নয়...

সতর্ক সংকেতে ৮ জেলা, ৪ সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা জারি
দেশের উপকূলীয় ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হা...

চলতি মাসের ১৩ জুলাইয়ের পর প্রকাশিত হবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষ...
নিজস্ব প্রতিবেদকচলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য অ...

মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তকে ভুল সংশোধনে উদ্যোগ, শিক্ষকদের প্রস্তাব...
নিজস্ব প্রতিবেদক।।ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে চিহ্নিত ভুল ও ত্রুটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়ে...

কুমিল্লার মুরাদনগরে এগিয়ে আসেনি কেউ, কবর খুঁড়ছে গ্রাম পুলিশ
কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে গণপিটুনিতে নিহত মা রোকসানা বেগম রুবি ও তার দুই সন্তান রাসেল ও জো...
