প্রতিবেদক: Nayan Dewanji | ক্যাটেগরি: ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কৃতি সন্তান | প্রকাশ: 13 Jun 2025, 10:09 AM
রবীন্দ্রনাথ যেখানে বসতেন, সেই চৌকাঠ আজ স্তব্ধ। শাহজাদপুরের সেই ঐতিহাসিক কাছারি বাড়ি—যার প্রতি ইঁট, প্রতি করিডরে কবিগুরুর স্মৃতির স্পন্দন—সেখানে এখন তালা। দর্শনার্থীর পদচারণা, শিশুর কোলাহল, তরুণদের ক্যামেরাবন্দী মুহূর্ত—সবকিছুই অনির্দিষ্টকালের জন্য থেমে গেছে।
৮ জুনের ঈদের ছুটির দুপুরে ঘটে যাওয়া এক অনভিপ্রেত ঘটনার রেশ ধরে এই নীরবতা। প্রবাসী শাহনেওয়াজ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে পার্কিং ফি নিয়ে এক কর্মচারীর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে শুরু। এরপর একরাশ রাগ, কিছু হাতাহাতি, অভিযোগ মতে এক ব্যক্তিকে অফিস কক্ষে আটকে রেখে মারধর। এই অপমান শুধু একজন ভ্রমণপিয়াসুর নয়, যেন আঘাত হানে স্থানীয় জনচেতনায়ও। উত্তাল হয়ে ওঠে জনতা। ১০ জুন, প্রতিবাদের ঝড় ওঠে—মানববন্ধন, বিক্ষোভ, এবং শেষে অডিটোরিয়ামের ভাঙচুর। স্মৃতির এই বাড়িতে পড়ে যায় সংঘর্ষের ছায়া।
সেইসব ঘটনার পরেই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনস্থ তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান জানিয়ে দেন, অনিবার্য কারণে দর্শনার্থীদের প্রবেশ আপাতত বন্ধ। গেইটে ঝুলে যায় নিষেধাজ্ঞার নোটিশ, অথচ ঘরের ভেতর নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকে স্মৃতি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুশফিকুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আশ্বাস দিয়েছেন, তদন্ত চলছে, অপরাধী শাস্তি পাবেই। তবুও প্রশ্ন রয়ে যায়—এই সংস্কৃতির বাতিঘর কেন হয়ে উঠল দ্বন্দ্বের মঞ্চ? কবিগুরু যদি জানতেন, তাঁর শান্তির ছায়া খুঁজতে এসে কেউ রাগে ফেটে পড়ছে, কেউ গায়ে হাত তুলছে, তবে কি তিনি আর লিখতেন—
"আমার এ পথ চাওয়াতেই আনন্দ..."?
এখন কবির পঙ্ক্তি নয়, কাছারি বাড়ির বাতাসে ভাসে প্রশাসনিক ঘোষণা, ভাঙা দরজার হাহাকার, আর অনিশ্চিত প্রতীক্ষার নীরবতা। কবির সেই চেনা বারান্দায় আজ কারও পায়ের ছাপ নেই, কেবল স্মৃতি গুটিয়ে বসে আছে এক কোণে।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
বজ্রকণ্ঠে বাজে ডাকে, কালো মেঘের তীর,বৃষ্টির ফোঁটা মাটির বুকে জাগায় প্রেম-নদীর।কদমফুলের গন্ধ মেশে শিশ...
জেলা পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোয় এসেছে বড় ধরনের পরিবর্তন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নয়টি থানার মধ্যে পাঁচ থানার অ...
নিরব শিক্ষা অঙ্গন হঠাৎই অশান্ত। প্রিয় শিক্ষককে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে কুমিল্লা মডার্ন হা...
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবার অব্যবস্থাপনা ও পরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির...
দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা ও আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪ জন প্রধান শিক্ষক ফিরে পে...
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের (১৮তম) চূড়ান্ত ফলাফলে কারিগরি ত্রুটির সংশোধন করে নতুন করে ৬০ হাজার ৬৩৪ জন...
The Weekly Swadesh Journal স্বদেশ জার্নাল