প্রতিবেদক: Nayan Dewanji | ক্যাটেগরি: বৃহত্তর কুমিল্লা | প্রকাশ: 13 Jun 2025, 9:57 AM
বর্ষা এলেই আতঙ্ক নেমে আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের চাতলপাড় ইউনিয়নে। মেঘনার ভাঙনে ২০১৮ সাল থেকে শতাধিক পরিবার বসতভিটা হারিয়ে গৃহহীন হয়েছে। এবার চকবাজার ও আশপাশের ঘরবাড়ি, মসজিদ-মন্দির, গোরস্থান ও বাজার এলাকাও ঝুঁকিতে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সাত বছর ধরে রাজনৈতিক নেতাদের পরিদর্শন আর আশ্বাসই শুধু মিলেছে, কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। ভাঙনের কারণ হিসেবে ২০০৯ সালে চাতলপাড় বাজারসংলগ্ন মেঘনার পাড়ে গড়ে ওঠা একটি ইটভাটাকে দায়ী করছেন তারা। ওই ভাটার প্রভাবে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়ে একদিকে চর পড়ে, অন্যদিকে শুরু হয় ভয়াবহ ভাঙন।
চকবাজার কমিটির সহসভাপতি নোয়াব আলী জানান, এ বাজারের ওপর নির্ভরশীল অন্তত ১০-১২টি গ্রামের মানুষ। অনেক দোকান ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয় পরিবেশ সংগঠন ‘তরী বাংলাদেশ’-এর আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেন, প্রতিবছর বর্ষায় কয়েকটি জিও ব্যাগ ফেলে দায়িত্ব শেষ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড, যা কার্যকর নয়। প্রয়োজন স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ।
চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে পানিসম্পদ উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান জানান, আগামী সপ্তাহে অস্থায়ীভাবে কাজ শুরুর প্রস্তুতি আছে, তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
জেলা প্রশাসক দিদারুল আলম বলেন, ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর দাবি, বিলম্ব নয়—চাতলপাড় রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ এখনই চাই।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
বজ্রকণ্ঠে বাজে ডাকে, কালো মেঘের তীর,বৃষ্টির ফোঁটা মাটির বুকে জাগায় প্রেম-নদীর।কদমফুলের গন্ধ মেশে শিশ...
জেলা পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোয় এসেছে বড় ধরনের পরিবর্তন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নয়টি থানার মধ্যে পাঁচ থানার অ...
নিরব শিক্ষা অঙ্গন হঠাৎই অশান্ত। প্রিয় শিক্ষককে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে কুমিল্লা মডার্ন হা...
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবার অব্যবস্থাপনা ও পরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির...
দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা ও আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪ জন প্রধান শিক্ষক ফিরে পে...
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের (১৮তম) চূড়ান্ত ফলাফলে কারিগরি ত্রুটির সংশোধন করে নতুন করে ৬০ হাজার ৬৩৪ জন...
The Weekly Swadesh Journal স্বদেশ জার্নাল